১
বিস্ময়ের গ্যামেট ফেটে ছড়িয়ে পড়ে রোদ! কতদূর? কতদূর যায়? কতটা সময় পেরোলে অতীত হয় সে! আমি তার নয় নয় মাস, আলোর ভিতরে বীজ, তার ভিতরে ফোটনের মত থাকি।
বিছানা বিস্তর এক, চারপাশে বাসর জেগে শতদল। বৃন্ত থেকে বৌভাতের দিকে, বেলা গড়ায় পুজোর…
২
যতটা দাগহীন, তুমি কেবল ততটুকুই দুর্বল। জাড্য উদযাপনে কাটে দিন, স্বস্তিহীন। অভয় নেই কোথাও।
তবু উটধর্মে বেঁচে থাকো… উপেক্ষা করো যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক মৃত্যু, আরও কিছুদিন, অন্তত কিছু দিন…
তপ্ত থর এ সময়। ভরসা রাখো,
কোনো সত্যই
সিগারেটের থেকে সাদা নয়…
৩
আমাদের দূরত্ব যতটা না গলির, তার চেয়ে বেশি অস্থিরতার, তার চেয়ে বেশি আসক্তির। আমরা বিরুদ্ধ অর্থনীতি সামলে উঠি, মুড স্যুইং সামলে উঠি, সহজ দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে কোনোভাবেই কেন এড়িয়ে চলতে পারি না…
পুদিনার গন্ধে গোটা বরানগর ম ম করে, একটি বেদনার কাছে মন সমর্পন করতে চাই। একটি বেদনা মৃত্যুর পর
ব্ল্যাকহোল হয়ে ওঠে
৪
সন্ধেবেলা কেউ স্কুল কেউ অফিস থেকে ফিরে, মসজিদ ও রাজমন্দিরের মাঝে, আড্ডায় বসি। এই ছবিটা যত না সোশিও-পলিটিক্যাল, তার চে’ বেশি তৃণমূল-বিজেপি নিয়ে মাথাব্যথা থাকে বিষয়ে। আড্ডা থেকে বাড়িতেও বিষয়ের রেশ নিয়ে যাই, নিজেদেরই অজান্তে, দিনের রোজগার।
রাত্তিরের স্বপ্নে করি আয়োজন। ধর্মরাজ পাশা খেলেন। আমরা তার সহোদর, দুহাত দিয়ে লজ্জা আঁকড়ে থাকি…
৫
নালিশ
নেই, কোনও
শান্তিও নেই তাই
মনের ভিতর।
এ জীবন গঙ্গাসাগর,
চাল ও কাঁকড়ের সঙ্গমস্থল…
*ভাষালিপি ১৪২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত