একসাথে দশটা বাক্যও লিখতে পারি না প্রায় একবছর হয়ে গেল। মধ্যিখানে কিছু যদি লিখেছিলাম, তা হলো চিঠি, কাউন্সিলরকে। আপাতত ডানহাতের ডিস্টাল রেডিয়াস ভেঙে টাইপ করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি জীবন অন্তত কিছুটা হলেও যদি পরিস্কার হয়। আসলে ব্যক্তিগত পরিসরে লেখার কিছু সুবিধে আছে। চিন্তা-দুশ্চিন্তা অর্গানাইজড করে ফেলা যায়। অসুবিধেও আছে। যেমন দুলাইন লিখতে পারলেই, বা বাহবা পেলেই আমিত্ব চেপে ধরে। লেখার অভ্যেস বালাই, না-লেখার অভ্যেসও। বন্ধুদের পোস্টেও লিখতে না পারার যাতনা দেখতে পাই। লিখে খুব বিশাল হবো, এমনটা আমার বা আমার যারা বন্ধু তাদের নব্বই শতাংশের মধ্যে নেই, কোনোদিন ছিল না। বরং লিখলে একটা শান্তি আসে, নিজের ভিতরেই, সেইটা বারবার পাওয়ার একটা লোভ ছিল। কিন্তু সেই লোভ সেই সোনার ডিমের হাঁসের মালিকটির মতন অবস্থা করে ছেড়েছে আমাদের।
হাত ১০০ গ্রাম ওজনও নিতে পারছে না। ব্যথা হচ্ছে। সেই ব্যথার মধ্যে অল্প হলেও একটা প্রসব বেদনা অনুভব করছি এই ব্লগটুকু টাইপ করতে গিয়ে। কিংবা অনেক দিনের অনভ্যেসের যৌনতা, যোনিতে যেটুকু ব্যথা দেয়, যেন সেই তৃপ্তি।
সুমন শীত নিয়ে কিছু একটা লিখতে বলেছিল ওর ব্লগে। পারিনি। আগে না পারা গুলো নিয়ে পালিয়ে যেতাম। এখন দেখেছি স্বীকার করে ফেললে, আরাম পাওয়া যায়। সুমন আমার বন্ধু। সুমন অনেক কিছু নিয়ে Active. ওর এনার্জি দেখে হিংসেও হয় কখনও কখনও। তাই চেষ্টাও করেছিলাম যদি কিছু লিখে উঠতে পারি। নিচে সেই লেখাই রইল। সুমন চেয়েছিল গদ্য। এই লেখাটিকে স্বমৈথুন ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না।
“আর্জি ছিল শীত, গলা দিয়ে নেমে গেল দুফোঁটা চোঁয়া চোঁয়া রাত। তরমুজ রঙের মদে তোমার নগ্ন নির্জন হাত, এঁকে দিয়ে গেল। বিজয়গড়ে বসে, হে পি আর সমুদ্র, কতই বা ঢেউ আর কতই বা ব্যাকুল ফেনা। সংরক্ষিত গজলে, আপেলে কামড় বসাই। প্রস্তাবিত নিউটনে, মধ্যাকর্ষণের ভিতর বাংলা অক্ষরমালা জেগে ওঠেন।
শীত মানে ওয়াইন, শীত মানে গজলের রাত-এই ঘ্রাণ, এই গান প্রচলিত। আদতে রহস্যময়ী ‘শ’ এর ভিতর আমার তান্ত্রিক ‘ত’ কেঁপে কেঁপে ওঠেন। দীর্ঘ হয় রাত, গলা দিয়ে নেমে যায়।
আপাতদৃষ্টিতে একেই আমার মাইমেসিস বলে জেনো”